শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১০

সুমেরীদের পর খ্রীষ্টপূর্ব ২৫০০ থেকে ২৩০০ অব্দের দিকে সুমেরের উত্তরে আক্কাদ নামক অঞ্চলে সেমেটিক ভাষী এক যাযবর গোষ্ঠীর উত্থান ঘটে যারা আক্কাদ নামে পরিচিত৷ এই আক্কাদ্রীয় সভ্যতা ১৪২ বসৎর পর্যন্ত স্থায়ীত্ব লাব করে যার মধ্যে ৫৬ বৎসর রাজত্য করেন প্রথম সার্গন (SARGAN-1)৷ এই সার্গনের জন্ম সম্পর্কে আমমরা যে সকল তথ্য পাই তা থেকে তৎকালীন সমাজে বহুবিবাহ ও নৈতিক মূল্যবোধের অবৰয়ের চিত্র আমরা দেখতে পাই৷ DR. FARAJ BASMACHI বলেন, “His (Sargans) mother aws a temple owman hwo conceived him and bore him in secret, she put him in a basket and cast him into the Euphrates river hwich carried him until he aws rescued by a gardener. The gardener reared him and hwen he became gronw-up the Goddess Ishtar granted him her love. He gained a position in the serice of UR-Zababa, King if kish, and then managed to overthro whis master.” (১৬) রাজা প্রথম সার্গনের অবৈধ জন্মের মাধ্যমে আমরা তৎকালীন সমাজের বিভিন্ন ধর্ম মন্দিরগুলোতে সেবাদাসীদের থাকার কথা জানতে পারি৷ এই সকল সেবাদাসীরা মন্দিরের পেরোহিতদের সাথে নির্লজ্জ যৌন সংযমে লিপ্ত থাকতো৷ ধর্মমন্দিরগুলো সে সময় ব্যভিচার ও যৌনলীলার আখড়ায় পরিনত হয়েছিল৷ প্রতিটি মন্দিরে অসংখ্য মেয়েরা থাকত কখনো সেবিকা রুপে কখনো দেবদাসীরুপে৷ নারীদের এইভাবে মন্দিরের কাজে নিযুক্তি কখনো নিন্দার চোখে দেখা হতোনা৷ তৎকালীন আক্কদীয় সমাজ ব্যবস্থায় মেয়েদের পিতামাতারা তাদের মেয়েদের এমনিভাবে মন্দিরের কাজে অংশগ্রহন করাকে বেশ গর্ববোধ করতেন এবং জাকজমকপূর্ন উৎসবের মাধ্যমে মেয়েকে মন্দিরে দেবদাসীর কাজে নিজুক্ত করতেন৷ দেবদাসীর কাজে নিজুক্ত হয়ে মন্দির-এর ভিতর পুরোহিতদের সাথে যৌনলিলায় লিপ্ত থাকাই মেয়েদেও প্রধান ও মূল কাজ ছিল৷ এইরুপ নির্বিচার যৌন সংযমের ফলে অনেক মেয়েই গর্ভবতী হয়ে পড়তো যার প্রত্যক্ষ প্রমান রাজা প্রথম সার্গনের মন্দিরের ভিতর অবৈধ জন্মের ইতিহাস৷ মন্দিরের ভিতর অবৈধভাবে জন্মগ্রহনকারী সন্তানদের অধিকাংশকেই মেরে ফেলা হতো৷

সুমেরীয়দেরমত আক্কদীয় পুরুষদের মধ্যেও বহুবিবাহের প্রচলন ছিল৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমাজের উচচ শ্রেনীর পুরুষরা একের অধিক স্ত্রী রাখতো৷ তবে অধিকসংখক স্ত্রী রাঅর চাইতে পুরুষরা অসংখ্য সেবাদাসী ও উপপত্নি রাখতো৷ তাদেও য্যেন চাহিদা পুরনের উদ্দেশ্যে৷ এছাড়াও যৌন মিলনের উদ্দেশ্যে তারা পর নারীর কাছে গমন করতো এবং আর্থিক স্বচছলকার কারনে নিজ ইচছা ও চাহিদা অনুযায়ী বিশেষ বিশেষ রমনীকে ভোগ করতো৷ যৃুদ্ধবন্দি নারীদেরকে সমাজের প্রতিপত্তিশালী লোকদের মধ্যেও বিভিন্ন মন্দিরে বন্টন করা হতো৷ এই সকল যুদ্ধবন্দী নারীরা আজীবন পুরুষদের ও মন্দিরের পুরোহিতদের যৌনচাহিদা পুরনের কাজে নিবৃত্ত থাকতো৷ নরনারীর বিবাহ সম্পর্ক আক্কদীয় আইনের দ্বারা নির্ধারন করা হতো৷ পুরুষ ও নারীরা নিজেদের ইচছা অনুযায়ী বিবাহ বিচেছদ ঘটাতে পারতো৷ তবে নারীর চেয়ে পুরুষদেরই ছিল সর্বসময় ক্ষমতা৷ পুরুষদের ক্ষমতা এত ছিল যে তারা কখনো কখনো তাদের স্ত্রীদের বিক্রি করে দিতে পারতো৷ স্বামীর কোথাও ঋণ থাকলে সেই ঋণ পরিশোদের জন্য স্বামীরা স্ত্রীদেরকে ঋণদাতার কাছে বন্ধক রাখতো৷ প্রতিটি স্ত্রীরই কর্তব্য ছিল স্বামী ও রাষ্টের জন্ন অধিক সন্তান জন্ম দেয়া৷ স্ত্রী বন্ধা হলে স্বামী কোন যুক্তি না দেখিয়েই তালাক দিতে পারতো৷ ব্যভিচারের জন্ন স্বামীকে কোন শাস্তি দেয়া হতো না৷ কিন্তু স্ত্রীর জন্ন এর শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড৷ পন্যের মত তাদেরকে যখন তখন নিলামে বিক্রি করা হতো৷ সমাজের মুষ্ঠিমেয় নারীরা উচচ মর্যাদা লাভ করতো৷ এমনিভাবে উচচ মর্যাদা সম্পন্না নারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল শুব-আদ (SHUB-AD) এনখিদুয়ানা (Enkheduana) প্রমুখ৷ এনখিদুয়ানা সম্পর্কে Encyclopedia Britannica তে বলা হয়েছে, “Enkheduana must have been a very gifted owman, tow Sumerian hymns by her have been preserved...........” (১৭) সে সময়কার উচচমর্যাদা সম্পন্না নারীরা যে বর্তমান আধুনিক নারীদের চাইতে সাজ সজ্জায় পিছিয়ে ছিলনা তার প্রমান আমরা পাই প্রখ্যাত পুরাতত্ত্ববিদ পফেসর নিউদার্ন উলী কর্তৃক আবিষকৃত রানী শুব-আদ এর সমাধীতে প্রাপ্ত বিভিন্ন অলংকারাদী থেকে৷



(১৬) Treasure of the Iraq Museum by Faraj Basmachi, page-26.

(১৭) Encyclopedia Britannica, Vol-11, page-973.

কোন মন্তব্য নেই: